বিশ্বজুড়ে সশস্ত্র সংঘাতে ক্ষুধাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্ত্রে পরিণত করা হচ্ছে—এমন কঠোর সতর্কবার্তা দিলেন জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের নতুন রণনীতি এখন ক্ষুধা। ফসলের মাঠ, বাজার ও রুট সবই টার্গেট করা হচ্ছে যেন মানুষ খাদ্যের নাগাল না পায়।’
তিনি জানান, সংঘাতপীড়িত অঞ্চলে সহিংসতা খাদ্যব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে, যার ফলে লাখ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের সঙ্কটে আটকে পড়ছে। যেখানে ক্ষুধা সেখানে শান্তি অসম্ভব, আর ক্ষুধা আবার নতুন সংঘাতকে উস্কে দেয়, মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৬টি প্রধান খাদ্যাভাবের স্পটের মধ্যে ১৪টি’র খাদ্যসংকটের মূল কারণ হচ্ছে সংঘাত। গত বছর ২৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে—আগের বছরের তুলনায় ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি। ক্ষুধায় বিপর্যস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ।
সুদান, গাজা, ইয়েমেন, হাইতি, সাহেল অঞ্চল ও কঙ্গোকে সবচেয়ে সংকটাপন্ন অঞ্চলের তালিকায় তুলে ধরে মোহাম্মদ বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দুর্ভিক্ষ, অবরোধ ও কৃষিব্যবস্থা ধ্বংসের মতো কৌশল আন্তর্জাতিক শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের সভাপতিত্বকারী সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাডা বায়ো বলেন, ‘ক্ষুধা কোনো দুর্ঘটনা নয়; এটি একটি ইচ্ছাকৃত অস্ত্র, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।’
সূত্র: আনাদোলু