মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত এইচ-১বি ভিসা প্রকল্পের পক্ষে মত জানিয়ে বলেছেন, “আমাদের দেশে কিছু ক্ষেত্রে মেধাবী জনবল আনার প্রয়োজন রয়েছে।”
ফক্স নিউজে ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “উৎপাদন ও প্রতিরক্ষা খাতের জটিল কাজে দীর্ঘদিন বেকার থাকা আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দিতে সময় লাগবে। এখনই যোগ্য দক্ষ কর্মী দরকার, এবং তারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই আছে।”
প্রশাসন এইচ-১বি ভিসার বিধিনিষেধ শিথিল করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের দেশে মেধা আনতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই, তাই বাইরে থেকে আনা জরুরি।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে তাঁর পূর্বের অবস্থান থেকে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাঁর প্রশাসন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য বিদেশি কর্মী নিয়োগে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছিল।
বিশেষ করে ভারতীয় আইটি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেন সবচেয়ে বেশি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয় যে, ২৫ সেপ্টেম্বরের পর জমা দেওয়া নতুন এইচ-১বি আবেদনগুলোর জন্য অতিরিক্ত ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পরে জানায়, এই নতুন ফি কেবল নতুন আবেদনকারী বা লটারিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রযোজ্য।
আগের আবেদনকারী বা বর্তমান ভিসাধারীরা এতে প্রভাবিত হবেন না। এই নীতি ২০২৬ সালের লটারিতেও কার্যকর থাকবে।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তি খাতে মেধার ঘাটতি পূরণে প্রশাসন হয়তো আবারও এইচ-১বি কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিতে পারে।