মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা পাঠিয়েছে জার্মানি। বুধবার (১২ নভেম্বর) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডিপিএ ও আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ড বলেছেন,’মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য একটি কার্যকর পুলিশ বাহিনী খুবই জরুরি।‘ তিনি জানান, এই কারণেই জার্মান ফেডারেল পুলিশের একটি উচ্চপদস্থ দলকে জেরুজালেমে পাঠানো হয়েছে।
চারজন নিরস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছেছেন। তারা জেরুজালেমে অবস্থিত অফিস ফর সিকিউরিটি (OSC) থেকে স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর পুনর্গঠনে সহায়তা করছেন। ডোব্রিন্ড বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে জার্মান পুলিশ ফিলিস্তিনি বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে। নতুন এই মিশন সেই প্রচেষ্টারই ধারাবাহিক অংশ।‘
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন ইইউবিএএম রাফাহ ২০২৫ সালের শুরু থেকে আবারও সক্রিয় হয়েছে। এর কাজ হলো গাজা উপত্যকা ও মিশরের মাঝের রাফাহ সীমান্তে নিরপেক্ষ উপস্থিতি বজায় রাখা। তবে বর্তমানে মিশনটি স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় রয়েছে। জার্মানি এখন এই মিশনে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা পাঠিয়েছে, যারা ইসরায়েলের রামাত গান শহরে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে সমন্বয়ের কাজ করছেন।
এছাড়া পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি পুলিশকে সহায়তার জন্য ইইউপোল কোপস মিশনে জার্মানির অংশগ্রহণ আগামী জানুয়ারিতে আবার শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জার্মান সেনাবাহিনীর তিনজন কর্মকর্তা বর্তমানে দক্ষিণ ইসরায়েলে কাজ করছেন। তারা গাজা উপত্যকার ‘স্থিতিশীলতা প্রক্রিয়া’-র অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে (CMCC) দায়িত্ব পালন করছেন। তারা ইউনিফর্ম পরা থাকলেও নিরস্ত্র অবস্থায় কাজ করছেন।