দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার শপথ গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার এই শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেছেন সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) উপ-প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী।নিজের পদত্যাগ ইস্যুতে এক্সে রামাস্বামী লিখেছেন, ‘ডিওজিই তৈরিতে সহায়তা করা আমার জন্য সম্মানের বিষয়। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ইলন এবং দল সরকারকে সুবিন্যস্ত করতে সফল হবেন। ওহিওতে আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে খুব শিগগিরই আমার আরও কিছু বলার আছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আমেরিকাকে আবার মহান (গ্রেট) করতে সাহায্য করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি!’রামাস্বামী ডিওজিই তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। টেসলার ইসিও ইলন মাস্কের সঙ্গে দেশটির সরকারি দক্ষতা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কাজে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই তাকেই এবার সরে যেতে হয়েছে। ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই কেন তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হলো; তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে সূত্র পলিটিকোর কাছে জানিয়েছে, মাস্ক উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কারণ দেখিয়ে ডিওজিই থেকে রামাস্বামীর প্রস্থানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ ব্যাপারে ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের ঘনিষ্ঠ একজন রিপাবলিকান কৌশলবিদ বলেছেন, ‘তিনি বন্ধন ছিন্ন করেছিলেন এবং অবশেষে তিনি ইলনের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন। যে কারণে সবাই মার-এ-লাগো থেকে তার ডিসির বাইরে চলে যাওয়া চেয়েছে।’জানা গেছে, এইচ১-বি (H1-B) ভিসা প্রোগ্রামে রামাস্বামীর অবস্থানকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। যা তার পদত্যাগে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়াও ডিসেম্বরের শেষের দিকে, তিনি আমেরিকান সংস্কৃতির সমালোচনা করেছিলেন। দাবি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলি বিদেশি কর্মীদের উপর খুব বেশি নির্ভর করতে বাধ্য করে। তার এমন মন্তব্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। কেননা, এটি দক্ষ কর্মীদের ভিসা কর্মসূচি সম্প্রসারণের বিরোধিতা করে।