ডলারের দরপতন ও যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউনের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) সকালে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ডলারের মান অতিক্রম করেছে মূল্যবান এই ধাতু। খবর রয়টার্স
লন্ডন সময় সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম ০.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ১১.৭৯ ডলারে। ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারও ০.৭ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ২১.২০ ডলারে লেনদেন হয়।
ইউবিএসের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাউনোভো বলেন, সুপ্রিম কোর্টে শুল্ক সংক্রান্ত সংশয় ও ডলারের দুর্বলতা স্বর্ণের দামকে বাড়তে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, ফেডারেল রিজার্ভের আসন্ন সুদহার কমানোর পদক্ষেপ স্বর্ণকে বছরের শেষে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ২০০ ডলারে পৌঁছে দিতে পারে।
আগের সেশনে চার মাসের সর্বোচ্চে ওঠার পর বৃহস্পতিবার ডলার সূচক ০.২ শতাংশ কমে যায়, যা অন্য মুদ্রার ক্রেতাদের জন্য স্বর্ণ কেনা আরও সাশ্রয়ী করে তোলে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্কের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতে নতুন ৪২ হাজার চাকরি সৃষ্টি হয়েছে, যা রয়টার্সের পূর্বাভাস ২৮ হাজারের তুলনায় অনেক বেশি। শক্তিশালী শ্রমবাজার ফেডের সুদহার কমানোর সম্ভাবনা কিছুটা কমাতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
এদিকে, কংগ্রেসের অচলাবস্থার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন চলছে। এতে সরকারি তথ্যপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এখন বেসরকারি খাতের তথ্যের ওপর নির্ভর করছেন।
গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার কমালেও চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটি হতে পারে ২০২৫ সালের শেষ কাটছাঁট। বর্তমানে ডিসেম্বর মাসে আরেক দফা হার কমানোর সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগের ৯০ শতাংশ থেকে কমে এসেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত কম সুদহারের পরিবেশে ভালো পারফর্ম করে।
ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে বৃহস্পতিবার পতন দেখা গেছে। ফ্রান্সের লেগ্রান্ড কোম্পানির প্রত্যাশার চেয়ে কম বিক্রয় প্রবৃদ্ধি প্রযুক্তি খাতের উচ্চমূল্যায়ন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, রুপার দাম বেড়ে আউন্সপ্রতি ৪৮.৭৪ ডলার, প্লাটিনাম আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৫৬৭.০১ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ১ হাজার ৪৩৪.২২ ডলারে লেনদেন হয়।
শীর্ষনিউজ