Image description

ফিলিস্তিনি বন্দির ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান আইন কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইফাত টোমের-ইয়েরুশালমি।  ফাঁস হওয়া ওই ভিডিওতে দক্ষিণ ইসরাইলের  তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে এক ফিলিস্তিনি বন্দির ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

টোমের-ইয়েরুশালমি গত সপ্তাহে সামরিক অ্যাডভোকেট জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, ভিডিও ফাঁসের সম্পূর্ণ দায়ভার তিনি নিচ্ছেন। পদত্যাগের দু’দিন পর রোববার তাকে তেল আবিবের উত্তরে একটি সমুদ্রসৈকত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে আটক করা হয়।

গত আগস্টে ইসরাইলের একটি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনা রিজার্ভ সদস্যরা এক ফিলিস্তিনি বন্দিকে আড়াল করে লাঠি ও ধারালো বস্তু দিয়ে নির্যাতন করছেন। পরে ওই বন্দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঘটনার পর পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে ‘গুরুতর শারীরিক নির্যাতন ও ক্ষতি সাধনের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।  যদিও তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

ডানপন্থি আইনি সহায়তা সংস্থা হোনেনুর আইনজীবী আদি কাইদার বলেন, আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট ও সাজানো মামলা করা হয়েছে।

 

পরে জানা গেছে, ওই বন্দিকে গত অক্টোবরে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজায় ফেরত পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ফৌজদারি তদন্ত শুরু হওয়ার পর টোমের-ইয়েরুশালমিকে ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ জানান, তিনি আর দায়িত্বে ফিরতে পারবেন না। এরপরই তিনি পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা মোকাবিলায় আমি সংবাদমাধ্যমে কিছু তথ্য প্রকাশের অনুমতি দিয়েছিলাম। বন্দিদের ওপর সহিংসতার সন্দেহ দেখা দিলে আমাদের তা তদন্ত করতেই হবে।

কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ তার পদক্ষেপকে ‘সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কলঙ্ক ছড়ানো’ বলে আখ্যা দেন।  রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তেইমানের ওই ঘটনা ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে গুরুতর প্রচারণাগত আঘাত।

রবিবার রাতে ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, ভিডিও ফাঁস ও গুরুতর অপরাধে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, তারা হলেন টোমের-ইয়েরুশালমি ও সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর কর্নেল মাতান সোলোমশ।

তথ্যসূত্র : বিবিসি