Image description

মেক্সিকো ক্ষমতাচ্যুত পেরুর প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজকে আশ্রয় দেওয়ায় দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে। পেরু সরকার অভিযোগ করেছে, ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার মামলায় বিচারাধীন শ্যাভেজকে মেক্সিকো আশ্রয় দিয়েছে।

 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত রোববারই এই ঘোষণা দিয়েছে পেরু সরকার। এর কয়েক ঘণ্টা আগে শ্যাভেজ মেক্সিকোর দূতাবাসে চলে যান।

পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুগো দে সেলা বলেন, “সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োর অভ্যুত্থানচেষ্টার অন্যতম অপরাধী হিসেবে শ্যাভেজকে মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় দেওয়ায় আমরা গভীর বিস্ময় ও দুঃখ প্রকাশ করছি। অতীত ও বর্তমানেও মেক্সিকোর হস্তক্ষেপের কারণে আজই আমরা তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” মেক্সিকো এই বিষয়ে এখনও মন্তব্য করেনি।

 

শ্যাভেজের আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি কয়েক দিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি এবং শ্যাভেজ আশ্রয়ের আবেদন করেছেন কি না সেটিও জানেন না। শ্যাভেজ পেরুতে সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

 

সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়ো ছিলেন একজন গ্রামের শিক্ষক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। পেরুর ‘প্রথম দরিদ্র প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে পরিচিত কাস্তিয়ো পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করার কারণে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অভিশংসনের মুখোমুখি হন এবং তখন থেকেই তার সঙ্গে শ্যাভেজের সম্পর্কিত মামলা চলমান।

অভিশংসনের পর কাস্তিয়ো মেক্সিকোর লিমা দূতাবাসে আশ্রয় চাইলে গ্রেপ্তার হন। শ্যাভেজও একই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন, তবে গত সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। প্রসিকিউটররা শ্যাভেজের বিরুদ্ধে ২৫ বছরের, আর কাস্তিয়োর বিরুদ্ধে ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছেন। তবে দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই পেরু মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। কারণ, মেক্সিকো তখন কাস্তিয়োর স্ত্রী ও সন্তানদের আশ্রয় দিয়েছিল। এর ফলে দু’দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।