Image description

দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হওয়া এই চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তি পেয়েছেন তিন ইসরায়েলি বেসামরিক নারী, যারা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ছিলেন।

মুক্তির সময়, প্রত্যেকের হাতে হামাস একটি করে ‘উপহার’ দেয়। এই উপহারের ব্যাগে ছিল গাজা উপত্যকার একটি মানচিত্র, বন্দি অবস্থায় তাদের তোলা ছবি এবং একটি সনদ, যেখানে বড় করে লেখা ছিল ‘মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। মুক্তি পাওয়া তিন নারীর নাম এমিলি ডামারি, রোমি গোনেন ও ডোরন স্টাইনব্রেগার। এমিলি ও রোমি একইসঙ্গে বন্দি ছিলেন।

হামাস তাদের হাতে ‘উপহারের ব্যাগ’ তুলে দেওয়ার আগে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে, যেখানে তাদের হাসিমুখে ছবি তোলা হয়। সনদে আন্তর্জাতিক সংগঠন রেড ক্রসের সদস্যরা স্বাক্ষর করেন এবং পরবর্তীতে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুসারে, জিম্মিদের রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই উপহার এবং ছবির ঘটনা হামাসের ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো এই ঘটনাকে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে এবং দাবি করেছে যে, জিম্মিরা তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা মন্তব্য করেছেন, হাসিমুখে ছবি তোলার সময় জিম্মিরা আসলে তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আনন্দে না, বরং এক ধরনের চাপের মধ্যে ছিলেন।

অন্যদিকে, সামাজিক গণমাধ্যমে এ ঘটনাটি নিয়ে সমালোচনা চলছে। কিছু মানুষ এটিকে ‘অসুস্থ মানসিকতার উদাহরণ’ ও ‘নির্মমতার নতুন সংজ্ঞা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, তবে হামাসের সমর্থকদের একটি অংশ এই পদক্ষেপকে প্রশংসা করেছে। উপহার দেওয়া ও ছবি তোলার ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাসের সশস্ত্র অঙ্গ সংগঠন এজেদ্দিন আল-কাসাম ব্রিগেড।

এ ঘটনায় আলোচনার মধ্যে রয়েছে মানসিক যুদ্ধ এবং যুদ্ধের নৈতিকতা সংক্রান্ত প্রশ্ন।