Image description

টানা ১৫ মাস যুদ্ধের পর হামাস-ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী স্থানীয় সময় রোববার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপ শুরু হলো। এর মাধ্যমে গাজা থেকে মুক্তি পাবেন ইসরাইলি জিম্মিরা। পক্ষান্তরে ইসরাইলের কারাগারে আটক থাকা ফিলিস্তিনিরাও মুক্তি পাবেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

এতে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী রোববার ভোর থেকে রাফাহ অঞ্চল হতে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে ইসরাইল। তারা সেখান থেকে মিশর ও গাজার সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফি করিডোরের দিকে সরে যাচ্ছে।

মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর এ যুদ্ধরিতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা গ্রহণের ঠিক আগের দিন থেকেই এ চুক্তি কার্যকর করা হয়েছে। তিনটি ধাপে কার্যকর করা হবে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি। যার প্রাথমিক ধাপ শুরু হলো রোববার থেকে। 

প্রথম ধাপ ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হবে। এর মধ্যে ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ৯৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। যাদের ৩৩ জন নারী ও শিশু এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব অসুস্থ পুরুষকে মুক্তি দেয়া হবে। 

অন্যদিকে ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি পাবে ৭৩৭ জন পুরুষ, নারী এবং তরুণ-তরুণী। এদের বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যার দায়ে আটক করা হয়েছিল। এছাড়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আটক হওয়া ব্যক্তিরাও এই চুক্তির আওতায় মুক্তি পাচ্ছেন। 

রয়টার্স বলছে, রোববার বিকেলে রেড ক্রসের মাধ্যমে তিন নারী জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এক্ষেত্রে প্রত্যেক জিম্মির বিনিময়ে ৩০ জন করে কারবন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। রোববার জিম্মি মুক্তি শুরু হওয়ার পর মার্কিন মধ্যস্থতাকারী আলোচক ব্রেট ম্যাকগার্ক বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সাত দিন পর আরও চার নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রতি সাত দিনে তিনজন করে জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে গাজার বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে ইসরাইল। এছাড়া উত্তর গাজার এলাকাগুলো থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজ এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল চুক্তিটি এগিয়ে নিতে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। কেননা ট্রাম্প তার শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের আগেই এই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। জিম্মিদের মুক্তি না দেয়া হলে হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।