
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বোন আলিমা খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। নভেম্বর ২৬-এর বিক্ষোভ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই পরোয়ানাটি অ-জামিনযোগ্য (নন-বেলএবল)।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম সামা টিভি।
বিশেষ আদালতের বিচারক আমজাদ আলী শাহ এই আদেশ দেন, কারণ নির্ধারিত শুনানিতে আলিমা খান ও তার আইনজীবী কেউই আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত তার জামিনদারকেও নোটিশ পাঠিয়েছে এবং পরবর্তী শুনানিতে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে অনুপস্থিতি নিয়ে আদালতের নজরদারি
শুক্রবারের শুনানিতে প্রসিকিউশন আদালতকে জানায় যে আলিমা খান হাজির হননি এবং অনুপস্থিতির জন্য কোনো অব্যাহতি আবেদনও জমা দেননি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জহির শাহ যুক্তি দেন, আলিমা খান ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের কার্যক্রমে উপস্থিত হচ্ছেন না এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছেন। তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ করেন, তার বিরুদ্ধে অ-জামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী তার জামিন বাতিলের নোটিশ দেওয়া হোক।
আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি গ্রহণ করে আলিমা খানের বিরুদ্ধে অ-জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি জামিনদারকেও নোটিশ পাঠানো হয় এবং নির্দেশ দেওয়া হয়, পরবর্তী শুনানিতে আলিমা খানকে আদালতে হাজির করতে হবে।
বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তের অভিযোগ
প্রসিকিউটর জহির শাহ আদালতে বলেন, আলিমা খান জামিনের সুযোগের অপব্যবহার করছেন এবং মামলার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছেন। তার ধারাবাহিক অনুপস্থিতি আদালতের বিচার প্রক্রিয়া এড়ানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।
আদালতও রাষ্ট্রপক্ষের এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত হয় এবং উল্লেখ করে যে অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত থাকা সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করেননি।
পরবর্তী শুনানি ২০ অক্টোবর
আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা ও নোটিশ জারির পর শুনানির তারিখ ২০ অক্টোবর নির্ধারণ করেছে। আদালত আবারও স্পষ্ট করে জানায়, ওই তারিখে অভিযুক্তকে অবশ্যই আদালতে হাজির করা হবে।
এই মামলা ২৬ নভেম্বরের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দায়ের করা হয়, যেখানে পিটিআই-সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।