
যুক্তরাষ্ট্র সরকারে এবারের শাটডাউন দেশটির ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন হাউসের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন।
শাটডাউনের ১৩তম দিনে এসে ক্যাপিটলে একা দাঁড়িয়ে স্পিকার জনসন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক চাকরিচ্যুত হাজারো ফেডারেল কর্মীর বিষয়ে বিস্তারিত জানা ছিল না তার।
শাটডাউনের বিষয়ে লুইজিয়ানার প্রতিনিধিত্ব করা আইনপ্রণেতা মাইক জনসন বলেন, আমরা আমেরিকার ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ শাটডাউনের দিকে খুব দ্রুত এগোচ্ছি। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে কোনো সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা না যাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে শাটডাউন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আগামীতে ‘বেদনাদায়ক’ ছাঁটাই আসছে বলে সতর্ক করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাজেট অনুমোদন না হলে সরকার তার অ-অত্যাবশ্যকীয় কার্যক্রমগুলো স্থগিত করতে বাধ্য হবে, যার ফলে এই গণছাঁটাই শুরু হবে। এই বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হলেও তারা সাধারণত কোনো বেতন পান না, তবে শাটডাউন শেষে আইন পাসের মাধ্যমে তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়। যদিও ছাঁটাইয়ের ঘটনায় মামলা করেছে কর্মী ইউনিয়নগুলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের শাটডাউন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে তাৎক্ষণিক মন্দা সৃষ্টি করতে পারে, যা সরকারি কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করবে এবং বিভিন্ন সরকারি সেবায় ব্যাঘাত ঘটাবে। আইনপ্রণেতারা সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এই অচলাবস্থার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
অর্থায়ন বন্ধ থাকায় সরকারের নিয়মিত অনেক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকার পাশাপাশি স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরসহ অন্য নামি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইটে বিঘ্ন দেখা যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আরো বাড়িয়েছে। শাটডাউনে অধিবেশন চলছে না কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউসে। আইনপ্রণেতাদের ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে আনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন স্পিকার জনসন। অন্যদিকে ফেডারেল ছুটির কারণে সোমবার বন্ধ ছিল কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট।
এর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার, তবে কক্ষটি ব্যর্থ ভোটের কানাগলিতে আটকে গেছে। কারণ স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত দাবি থেকে সরে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
আমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউন ছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে ২০১৯ সালে ট্রাম্পের দাবীকৃত অর্থ না পাওয়ায় ৩৫ দিন বন্ধ ছিল সরকারের বিভিন্ন দপ্তর।
অর্থায়ন বন্ধ থাকায় সরকারের নিয়মিত অনেক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকার পাশাপাশি স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরসহ অন্য নামি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইটে বিঘ্ন দেখা যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আরো বাড়িয়েছে।
শীর্ষনিউজ