Image description

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষে উদ্বিগ্ন চীন। এক বিবৃতিতে সোমবার বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। তারা দুই দেশকে চীনা নাগরিক ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

শনিবার রাতভর চলা সংঘর্ষে দুই দেশের অন্তত ডজনখানেক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষই রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে।

 
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকে এটি ছিল দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াই।

 

চীনের পশ্চিমাঞ্চল আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গেই সীমান্ত ভাগ করে এবং বেইজিং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান সোমবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘চীন পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিকাশে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।’

তিনি আরো বলেন, বেইজিং আশা করে যে কাবুল ও ইসলামাবাদ সংযম ও শান্ত অবস্থান বজায় রাখবে এবং সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে মতপার্থক্য মেটাবে, যাতে সংঘাত আরো না বাড়ে।

 

 

গত আগস্টে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই কাবুলে পাকিস্তান ও আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি সব স্তরে যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান।

এর কয়েক সপ্তাহ আগে বেইজিং আয়োজিত অ-আনুষ্ঠানিক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে চীন জানিয়েছিল, কাবুল ও ইসলামাবাদ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে।