Image description

পদত্যাগের মাত্র কদিন পরই সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে পুনরায় ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। লেকর্নুকে এখন নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ম্যাক্রোঁর কার্যালয়। লেকর্নুর এই প্রত্যাবর্তনকে একটি আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লেকর্নু যখন প্রথম নিযুক্ত হন, তখন ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে পড়েছিলেন ‍ তিনি। বিশেষ করে ঋণ সংকটের মধ্যে পার্লামেন্টে বাজেট পাস করা নিয়ে বেশি সংগ্রাম করতে হয় তাকে। এরপর গত সোমবার পদত্যাগ করেন তিনি।

 

নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার পর লেকর্নু এখন বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কারণ, দেশের সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আরেকটি সরকার গঠনের পাশাপাশি আগামী সোমবারের মধ্যে তাকে ২০২৬ সালের বাজেট পেশ করতে হবে। অন্যথায় এ বছরের শেষদিকে ‘প্রচণ্ডভাবে বিভক্ত’ পার্লামেন্টে ভোট দেওয়া সম্ভব হবে না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেকর্নু লিখেছেন, এ বছরের মধ্যে ফ্রান্সের বাজেট প্রদান ও নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা সমাধানে সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রেসিডেন্ট অর্পিত মিশনটি আমি গ্রহণ করেছি। আমাদের অবশ্যই এই রাজনৈতিক সংকট ও অস্থিরতা নিরসন করতে হবে। দেশের জনগণ এতে বিরক্ত। এছাড়া, ফ্রান্সের ভাবমূর্তি ও স্বার্থের জন্যও এই পরিস্থিতি ক্ষতিকর।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে গত কদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অতিডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) এবং অতিবামপন্থি ফ্রান্স আনবোড পার্টি ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ম্যাক্রোঁ।

ওই সাক্ষাৎকারের অল্প কিছুক্ষণ আগে এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে ‘এ মুহূর্তে সম্মিলিত দায়িত্ব’ পালনের আহ্বান জানান তিনি। তখন মনে করা হয়েছিল সব রাজনৈতিক দল যদি ম্যাক্রোঁর পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সমাবেশ না করে, তবে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারেন।