
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং সেন্টকম প্রধান অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার গাজা উপত্যকায় একটি ইসরায়েলি সেনা পোস্ট পরিদর্শন করেছেন। আজ শনিবার তারা সেখানে যান। ফক্স নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
দুই আমেরিকান কর্মকর্তার সাথে আইডিএফ চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামিরও যোগ দিয়েছিলেন। ফক্স দ্বারা প্রকাশিত ছবিতে ওই দুই কর্মকর্তাকে অস্পষ্ট (ব্লার) করা হয়েছে।
ফক্স জানিয়েছে, হামাসের সাথে চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য এই সফর ছিল।
সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুপার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি গাজার অভ্যন্তরে একটি সফর থেকে ফিরে এসেছেন। যাতে জানানো যায়, আমরা কীভাবে একটি সেন্টকম-নেতৃত্বাধীন বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্র (সিএমসিসি) প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি। সংঘাত-পরবর্তী স্থিতিশীলতা রক্ষায় কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। সিএমসিসি শান্তি নিশ্চিতে কাজ করবে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে কমান্ডার-ইন-চিফের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে আমেরিকার ছেলেমেয়েরা সাড়া দিচ্ছেন। গাজায় কোনো মার্কিন সেনা না থাকা সত্ত্বেও এই মহান প্রচেষ্টা সফল হবে।
চলতি সপ্তাহে মিশরে অনুষ্ঠিতব্য গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এই সম্মেলনের আয়োজন করছেন এবং ইউরোপ ও আরব বিশ্বের কয়েকজন নেতাকে এতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সম্মেলনটি আগামী মঙ্গলবার (একদিন আগেও হতে পারে) লোহিত সাগরের উপকূলীয় শহর শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এখানেই সম্প্রতি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল, যেখানে কাতার, মিসর ও তুরস্ক মধ্যস্থতা করেছিল।
এই সম্মেলনে অংশ নেবেন জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, জর্ডান, তুরস্ক, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার নেতারা বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এতে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।