Image description
 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৪ সালে আজারবাইজানের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় রাশিয়ার ভূমিকা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি ঘটনাটিকে এক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি হিসেবে উল্লেখ করেন।

 

বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

 
 

পুতিন জানান, দুর্ঘটনার দিন সকালে রাশিয়া ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংসের জন্য দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যার একটি বিমান থেকে কয়েক মিটার দূরে বিস্ফোরিত হয়। তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরাসরি বিমানে আঘাত করেনি, তবে বিস্ফোরণের অভিঘাতের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

রুশ প্রেসিডেন্ট আরও জানান, রাশিয়ার বিমান নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ পাইলটকে রাশিয়ার মাখাচকালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু পাইলট নিজ গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং কাজাখস্তানে অবতরণের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

পুতিন প্রতিশ্রুতি দেন যে রাশিয়া নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড আইন অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এর আগে রাশিয়াকে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ গোপন করার অভিযোগ করেছিলেন। তবে পুতিনের স্বীকারোক্তির পর আলিয়েভ রাশিয়ার দেওয়া তথ্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি এমব্রেয়ার ১৯০ বিমান দুর্ঘটনায় ৬৭ জন আরোহীর মধ্যে ৩৮ জন নিহত হন। বিমানটি মূলত দক্ষিণ রাশিয়ার গ্রোজনি শহরে অবতরণের কথা ছিল, কিন্তু রুট পরিবর্তন করে কাজাখস্তানে অবতরণের চেষ্টা করার সময় এটি বিধ্বস্ত হয়।