
ভারতের ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমানে ব্যবহারের জেএফ-১৭-এর ইঞ্জিন বিক্রি করছে রাশিয়া– এমন খবরে নড়েচড়ে বসেছে ভারতের রাজনীতির ময়দান। বিরোধী দল কংগ্রেস রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তকে নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে রুশ এক সূত্র জানিয়েছে, ইসলামাবাদের কাছে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন সরবরাহের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি মস্কো।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় মোদি সরকার। এবার সেই রাশিয়াই অত্যাধুনিক অস্ত্র সরঞ্জাম বিক্রি করছে ভারতের শত্রু দেশ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের কাছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা চীনা যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭ এর আরডি–৯৩এমএ ইঞ্জিন সরবরাহ করবে রাশিয়া। এমন খবরের পর নয়াদিল্লির রাজনীতিতে দেখা দেয় উত্তেজনা।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস বলেছে, পাকিস্তানে রুশ ইঞ্জিন রফতানি রোধে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দলটির মুখপাত্র জয়রাম রমেশ সামাজিক মাধ্যমে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত কূটনীতি শুধুই প্রদর্শনীমূলক, যার কোনো বাস্তব কৌশলগত ফল নেই।
তিনি মোদি সরকারের কাছে এই বিষয়ে জবাবদিহিতা দাবি করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ইঞ্জিন সরবরাহের এই পদক্ষেপে ভারতেরই কৌশলগত সুবিধা রয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে, চীন ও পাকিস্তান এখনো রুশ প্রযুক্তির বিকল্প তৈরি করতে পারেনি।
তবে রুশ এক সূত্র জানায়, ইসলামাবাদে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন সরবরাহের কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি মস্কো। বরং এটি অযৌক্তিক এবং ভুল ব্যাখ্যা বলে দাবি করেছেন তারা।
রাশিয়ার এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগামী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের দিকেই এগোচ্ছে। কেউ হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে এই সহযোগিতা নষ্ট করতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, এটি কেবল তথ্যযুদ্ধের অংশ, যার উদ্দেশ্য সরকারকে দুর্বল দেখানো।