
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ৬ বারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটো দিল ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবারের (১৮ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে উত্থাপিত সর্বশেষ প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলকে সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং ত্রাণ সরবরাহ করতে দেওয়ার কথাও বলা ছিল। এর বিপরীতে খসড়া প্রস্তাবটিতে গাজায় জিম্মি অবস্থায় থাকা ইসরাইলিদের অবিলম্বে সম্মানজনক মুক্তির শর্তও ছিল।
স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত ১০ সদস্যদেশ এ খসড়া প্রস্তাব তুলেছিল। স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে। বাকি ১৪ সদস্য দেশ খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।
গাজায় প্রায় দু বছর ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। এ সময়ের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের শর্ত যুক্ত করে নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত ছয়টি প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে ওয়াশিংটন।
ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে হামাস একে ‘গণহত্যার অপরাধের সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে জড়িত থাকা’ বলে চিহ্নিত করেছে।
ভোটাভুটির আগে জাতিসংঘে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিনা মার্কুস লাসেন নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, ‘গাজায় দুর্ভিক্ষ এখন নিশ্চিত একটি বিষয়। অনুমান নয়, ঘোষণা নয়— এটা এখন নিশ্চিত।’
ক্রিস্টিনা আরও বলেন, গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরাইল। এতে বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। এ মানবিক বিপর্যয়, এ মানবিক ব্যর্থতা আমাদের আজকের এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
প্রায় দু বছর ধরে চলা ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জন।