
ইয়েমেন থেকে ফের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, যা দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে লক্ষ্য করা হয়েছিল। এই হামলার ফলে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে সতর্কবার্তা সাইরেন বাজতে থাকে এবং লাখ লাখ ইহুদি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
ইসরাইলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
দখলকৃত অঞ্চলের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ইয়েমেন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কুদস নিউজ নেটওয়ার্কের খবরে বলা হয়, হামলার পর ইসরাইলি হোম ফ্রন্ট কমান্ড আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে।
প্যালেস্টাইন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেল আবিবে বিমান হামলার সতর্কবার্তা সাইরেন বাজতে থাকে। আল-মায়াদিন জানিয়েছে, বিস্তীর্ণ এলাকায় সতর্কবার্তা শুনা গেছে। প্যালেস্টাইন নাও জানিয়েছে, কালকিলিয়া ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে ইসরাইলি সেনারা দাবি করেছে যে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত হওয়ায় এই শব্দটি শুনা গেছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আটকাতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) আল-মাসিরাহ টিভিতে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, বৃহস্পতিবার একটি ‘প্যালেস্টাইন-২’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নেগেভ অঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানে। তিনি জানান, এই অভিযান সফল হয়েছে এবং হামলার ফলে বহু ইসরাইলি আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সারি আরও উল্লেখ করেন, তাদের ড্রোন ইউনিট অতিরিক্ত দুটি অভিযান চালায়: একটিতে দুটি ড্রোন ব্যবহার করে এলাত সংলগ্ন রামন বিমানবন্দরে, আরেকটিতে একটি ড্রোন দিয়ে নেগেভের আরেকটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। এই হামলাগুলোকে গাজায় ইসরাইলি কর্মকাণ্ড ও ইয়েমেনের ভূখণ্ডে আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সারি জোর দিয়ে বলেন, ইয়েমেন ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকবে এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।