Image description

জেরুজালেমের একটি বাস স্টেশনে বন্দুকধারী দুই ফিলিস্তিনির হামলায় ছয় ইসরায়েলি নিহত এবং গাজা শহরে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে হামলায় চারজন সৈন্য নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীকে একটি সম্ভাব্য হামলা প্রস্তুতি নিতে বলেন। খবর বিবিসি

এর জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় একটি আবাসিক ভবনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় ইসরায়েলের ১৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওই আবাসিক ভবনে ১০ গোলা নিক্ষেপ করা হয়।

এ হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্য এবং কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হয়েছেন। একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, হামাস সদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন প্রধান আলোচক এবং গাজা থেকে নির্বাসিত নেতা খলিল আল-হাইয়া এবং পশ্চিম তীর থেকে নির্বাসিত নেতা জাহের জাবারিন।

কাতার জানিয়েছে, ইসরায়েল যে ভবনটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে সেখানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এক বিবৃতিতে হামাস এ হামলাকে জঘন্য অপরাধ, আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে।

যদিও হামাস ওই বিবৃতিতে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই নিশ্চিত করেছে, আলোচনার টেবিলে থাকা ইসরায়েল আমাদের ভাইদের হত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তাদের যে পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে খলিল আল হায়ার ছেলে, হুম্মাম এবং হায়া অফিসের পরিচালক জিহাদ লাবাদ।

এ হামলার জন্য হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। হোয়াইট হাউসও জানিয়েছে, হামাসের ওপর হামলার আগে ইসরায়েল মার্কিন সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানিয়েছে।

গত ২৩ মাসে ইসরায়েলের হামলায় হামাসের অনেক সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইরান সফরে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া। এ ছাড়া ওই একই বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা চালানোর মূল পরিকল্পনাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ার।

২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এরপর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে তেল আবিব। যা এখনো চলছে। এতে গাজায় ৬৪ হাজার ৬০৫ জন নিহত হয়েছে। দেখা দিয়েছে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।