গাজা ও মিশর সীমান্ত বরাবর অবস্থিত ফিলাডেলফিয়া করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি সম্প্রচার মাধ্যম কেএএন।
কেএএন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতির জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দক্ষিণ কমান্ডে সভা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে কেএএন জানিয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি দিক থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফিলাডেলফিয়া করিডোর (গাজা-মিশর সীমান্ত বরাবর) থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ইসরাইলি, মিশরীয় এবং মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, হামাসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম কয়েক দিনের মধ্যেই সেনাবাহিনী ফিলাডেলফিয়া করিডোর থেকে তাদের সদস্যদের সরিয়ে নেবে। তবে সেনাবাহিনী মধ্য গাজার নেটজারিম অক্ষে তাদের অবস্থান এবং স্থাপন করা অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
কেএএন বলছে, সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার সীমান্তে একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই সীমান্তের এক কিলোমিটারেরও বেশি প্রশস্ত এলাকার সমস্ত ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে গাজাযুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী কাতার জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে এবং চুক্তি ঘোষণা ‘আসন্ন’।
দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, ‘হামাস ও ইসরাইল উভয়ের কাছেই একটি খসড়া চুক্তি হস্তান্তর করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কিত বিষয়গুলোরও সমাধান করা হয়েছে। ‘
এছাড়া হামাসও নিশ্চিত করেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে।