Image description
 

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে—এই অভিযোগ থেকেই পূর্বে দেশটির বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও ইসরায়েল নিজেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগোচ্ছে। ইসরায়েলের সিমন পেরেস নেগে পারমাণবিক কেন্দ্রে নতুন একটি চুল্লি বা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর স্থাপনা নির্মাণে কাজ করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

 

মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম এপি নিউজ কয়েকজন বিশ্লেষকের বরাতে জানিয়েছে, ডিমোনা শহরে অবস্থিত ওই পারমাণবিক কেন্দ্রে নতুন চুল্লি স্থাপন করা হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সমরবিশেষজ্ঞদের মতে, স্থাপনাটির আশপাশে কোনো বেসামরিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নেই। তবে নতুন স্থাপনায় সত্যিই বোমা তৈরি হচ্ছে কি না তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলের কাছে—এমন দাবি আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের। যদিও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি বা অস্বীকার করেননি।

 

বুলেটিন অফ অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস-এর ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কাছে প্রায় ৯০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। ১৯৫০ সালের দিকে ডিমোনা শহরের মরুভূমিতে পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছিল দেশটি। জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা আইএই-এর সঙ্গে ইসরায়েলের এনপিটি চুক্তি না থাকায় আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা স্বাধীনভাবে বিষয়টি সরাসরি পর্যালোচনা করতে পারেনি।

 

চলতি বছরের জুনে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে—এই অভিযোগের ভিত্তিতে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত ইরানকে ঘিরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রমাণ ইসরায়েল উপস্থাপন করতে পারেনি। আইএই-এর মতে, ইরানের কাছে বর্তমানে থাকা ইউরেনিয়াম দিয়ে দেশটি মাত্র কয়েক মিনিটে ছয়টি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সম্প্রতি সতর্ক করেছেন, ইসরায়েল নতুন কোনো ষড়যন্ত্র করলে তার জবাব পূর্বের চেয়ে ভয়াবহ হবে। এ নিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।