
ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ বোমাবর্ষণ আরো জোরদার করেছে। এ কারণে হামাস জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। সংগঠনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করা যায়।
বুধবার ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলায় অন্তত ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন খাদ্য সহায়তা প্রার্থনাকারীও ছিলেন।
অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলার ফলে পরিবারগুলো তাদের তাঁবু ও আশ্রয়কেন্দ্রে একসঙ্গে নিহত হচ্ছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি সাবরিন আল-মাবহুহ আল জাজিরাকে বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, নিজের ঘরের ভেতরে। তারা তাকে তার স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে মেরে ফেলেছে; পুরো পরিবারকে মুছে দিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি গ্রেনেডে শেখ রাদওয়ানের স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের তাঁবুতে আগুন ধরে গেছে। এলাকার বাসিন্দা জাকেয়া সামি বলেছেন, শেখ রাদওয়ান জ্বলছে, সবকিছু ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। যদি গাজা শহর দখল বন্ধ না হয়, আমরা মরে যেতে পারি।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, গত তিন সপ্তাহে ইসরায়েল অন্তত ১০০টি বিস্ফোরকভর্তি রোবট গাজা শহরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, যাতে পুরো আবাসিক ব্লক ও পাড়া-মহল্লা ধ্বংস হয়ে যায়। শুধু ১৩ আগস্ট থেকে গাজা শহরে ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত ১,১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।