Image description

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। এক্সের এক বার্তায় তিনি বলেছেন, এ পর্যন্ত ১৪১১ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে সরকার। আহতের সংখ্যাও বেড়েছে। সরকারি ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার রাতে আঘাত হানা ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ৩১২৪ জন। আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ৫৪০০টি বসতবাড়ি। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির মুখপাত্র ইউসুফ হাম্মাদ।

বার্তা সংস্থা এপি’কে তিনি বলেন, আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।  ভূমিকম্পের কারণে কিছু এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। সড়ক ব্লক হয়ে গেছে। ফলে উদ্ধার অভিযান স্বাভাবিক গতিতে হচ্ছে না। যদিও কিছু সড়ক পুনরায় চালু করা হয়েছে। বাকি রাস্তাগুলো দ্রুত চালু করতে কাজ করছে সরকার। কেননা, সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না করলে দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। ওদিকে আফগানিস্তানের বর্তমান তালেবান শাসকদেরকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তবে অনেক দেশ সীমিতভাবে যোগাযোগ ও সহায়তা বজায় রাখার চেষ্টা করছে।

জাপান ২০০১-২০২১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানকে ৬.৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। ২০২৪-২০২৫ সালে সীমিতভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে সহায়তা দিয়েছে তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের অনুরোধে ২৭.৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে আফগানিস্তান। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শরণার্থী সহায়তায় ৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে। জাপান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি’র সরকারের দূতাবাসকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু কাবুলে তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য একটি কার্যকর দূতাবাসও আছে। কেবল রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। চীন তালেবানের কূটনীতিককে স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্তু সরকার নয়। ভারত, বৃটেন, নরওয়ে সহ অনেক দেশে সাবেক সরকারের দূতাবাস বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ১৭টি দেশে কাবুলের কার্যকর দূতাবাস আছে। কিন্তু যেহেতু তালেবান সরকারকে বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি নেই, তাই সরাসরি সহায়তা পৌঁছানো কঠিন।