Image description
 

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার দোহায় বৈঠকে বসবেন আলোচকরা। সোমবার মধ্যরাতে আলোচনায় অগ্রগতির পর মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল এবং হামাসকে চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তার সমর্থিত যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, এই আলোচনায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূতরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

সোমবার এক ভাষণে বাইডেন বলেন, এই চুক্তি জিম্মিদের মুক্তি দেবে, যুদ্ধ বন্ধ করবে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। যদি এই চুক্তি সফল হয়, তবে এটি এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার সফল সমাপ্তি ঘটাবে। আগে হামাস প্রায় অর্ধেক বন্দিকে মুক্তি দিয়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে বিনিময় করেছিল।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় দোহায় উভয় পক্ষের কাছে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি পেশ করা হয়েছে। বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, আমার মনে হয় এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার খুব কাছাকাছি আমরা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। হামাস বলেছে, তারা চুক্তি করতে আগ্রহী।ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৩ জন জিম্মি মুক্তি পাওয়ার পথে রয়েছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সাআর বলেন, এখন পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো। আমি আমাদের মার্কিন বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই।২০২৩ সালের অক্টোবরে নজিরবিহীন প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে আক্রমণ করে হামাস। এতে ১২০০ জন নিহত হয় ও ২৫০ জনের বেশি মানুষ জিম্মি হয়। এরপর ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গাজায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং অধিকাংশ এলাকা ধ্বংস হয়ে যায়।

চুক্তিতে কী কী বিষয় থাকছে

১। চুক্তির প্রথম ধাপে শিশু, নারী, বয়স্ক এবং আহত ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

২। ১৬ দিন পর দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় বাকি জীবিত জিম্মি এবং মৃতদেহ ফেরতের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

৩। ইসরায়েলি বাহিনী ধাপে ধাপে গাজা থেকে সরে দাঁড়াবে।

৪। নিরস্ত্র বাসিন্দাদের উত্তর গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারির অভিষেককে একটি সময়সীমা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।