Image description

গাজার জনসাধারণকে অনাহারে মেরে ফেলার পক্ষে ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থি মন্ত্রীরা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরাইলের উগ্রপন্থি মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সেনাপ্রধান ইয়াল জামিরকে নির্দেশও দিয়েছেন।

শনিবার ‘অপারেশন গিডিয়ন’স রথ ২’ শীর্ষক বৈঠকে গাজা দখল নিয়ে সেনাপ্রধানের সাথে কট্টরপন্থি মন্ত্রীদের ব্যাপক বাগবিতণ্ডা হয়। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

ইসরাইলি চ্যানেল১২ জানায়, দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মোত্রিচসহ অন্য কট্টরপন্থি মন্ত্রীরা সেনাপ্রধানকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আমরা আপনাকে গাজায় অবশিষ্ট যারা বেঁচে আছেন, তাদের ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছি। যে সরে যেতে চাইবে না, তাদের যেতে দেওয়া হবে না। পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই - তাদের ক্ষুধায় মারা যেতে দিন অথবা আত্মসমর্পণ করতে দিন। আমরা এটাই চাই।’

তবে এ গাজা সিটি দখলে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের বিরোধী দেশটির সেনাপ্রধান ইয়াল জামির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, গাজা সিটি দখলের অভিযান ইসরাইলি জিম্মিদের জীবনকে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

এরপর স্মোত্রিচ সেনাপ্রধান জামিরের কড়া সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আদেশ অমান্য করার এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। বলেন, সেনাপ্রধান হামাসকে পরাজিত করতে চান না।

ইসরাইলি চ্যানেল ১৩-তে সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জামির বলেন, ‘একটি বন্দিবিনিময় চুক্তি আলোচনার টেবিলে আছে এবং এটি এখনই গ্রহণ করা উচিত।’

তিনি জানান, ‘সেনানাবাহিনী যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন করার জন্য শর্ত দিয়েছে, এখন সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর হাতে।’

গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা নিয়ে সেনাপ্রধান তার উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘সেনাবাহিনী গাজা দখল করতে সক্ষম, তবে এই অভিযান জিম্মিদের জীবনকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করতে পারে।’

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ৬২ হাজার৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। সামরিক অভিযানের ফলে উপত্যকাটি ধ্বংস হয়ে গেছে, দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি এখানকার মানুষ।

গত নভেম্বরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।