Image description

আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে চীন ভারতের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি ৫ বছর পর সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি-বেইজিং। এছাড়া ৭ বছর পর এ মাসের শেষে চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

সীমান্ত বিরোধসহ নানা ইস্যুতে চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। তবে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। গত সোমবার দুই দিনের সফরে ভারতে যান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এছাড়া বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও।

সফরের প্রথম দিনই ওয়াং ই মন্তব্য করেন, চীন ভারতের একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তাছাড়া এই সফরে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি দিল্লি-বেইজিং সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস, হিমাচলের শিপকি লা এবং সিকিমের নাথুলা দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হতে চলেছে। 

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘সম্পর্কের কঠিন সময় পার করার পর, দুই দেশ এখন এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এর জন্য উভয় পক্ষের একটি স্পষ্ট এবং গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। সেই প্রচেষ্টায়, আমাদের তিনটি পারস্পরিক বিষয় দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। এগুলো হলো- পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং স্বার্থ।’

করোনা মহামারি চলাকালে ২০২০ সালে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারত। এর মধ্যে লাদাখে ভারত-চীন সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক ইস্যুতে আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলায় চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে ভারত। সীমান্ত বাণিজ্য শুরুর পাশাপাশি সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা একে অপরের দেশ সফর করছেন।

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এসসিওর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এ মাসের শেষে চীন সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যা ৭ বছরের মধ্যে প্রথম বেইজিং সফর হবে মোদির। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চীন সফর করেন।

রাশিয়া থেকে তেল কেনায় সম্প্রতি ভারতের ওপর দুই দফায় ৫০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা কার্যকর হচ্ছে ২৭ আগস্ট। এখন পর্যন্ত শুল্কে ছাড় বা কমানোর কোনো ইঙ্গিত দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।