
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মব সৃষ্টি, চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাস এগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সংকট তত কমে আসবে। আর নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, সন্ত্রাসগুলোও বাড়বে, দেশ বিপদে পড়ে যাবে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ জাতীয় ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মব সৃষ্টি, চাঁদাবাজী, দখল, সন্ত্রাস রুখতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, সন্ত্রাসগুলোও বাড়বে, দেশ বিপদে পড়ে যাবে। কারণ ফ্যাসিস্টরা পার্শ্ববর্তী দেশে আছে। তাদের হাতে লুণ্ঠিত অর্থ, সীমাহীন লুণ্ঠিত, তিন-চার বছরের বাজেটের অর্থ তাদের কাছে আছে। প্রচুর অস্ত্র তাদের হাতে আছে।
তিনি বলেন, দেশে মব সৃষ্টি, চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাস এগুলো গত এক বছরে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু মানুষের প্রত্যাশা ছিল স্বৈরাচারী শাসনের অবসান হলে, স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলে, শেখ হাসিনাকে বিদায় করা সম্ভব হলে, মানুষ একটু শান্তিতে থাকবে। কিন্তু শান্তি তো দূরে থাক, এখন বিভেদ, মুসিবত নিয়ে মানুষকে বসবাস করতে হয়। চাকরি নাই। যাদের চাকরি ছিল সেই চাকরিও এখন রক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তাঘাটে কখন কে বিপদে পড়বে, এটা আল্লাহ পাক ছাড়া আর কেউ জানেন না। দিনের বেলায় নির্জন রাস্তায় যেকোনো সময়ে ভয়ংকর ব্যক্তি হাজির হয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ তার দায়িত্ব কি সঠিকভাবে পালন করছে ?
পুলিশকে নিজেদের সংশোধন করতে হবে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা যোগ করেন, তাদের (পুলিশের) আবার আরেকটি বক্তব্য আছে, তাদের ওপরে নাকি ছাত্র-জনতা অত্যাচার করেছিল। তাদেরও বুঝতে হবে, ১৫ বছর ধরে তারা বিগত সরকারকে যেভাবে সহায়তা করেছে, ছাত্র-জনতাকে গুলি করেছে, এটা ঠিক হয় নাই। তাদের নিজেদের সংশোধন হতে হবে কারণ দেশটা আমাদের সবার।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি , গণতন্ত্রের উত্তরণ এখনও কিন্তু সম্ভব হয় নাই। যারা শাসক আছে, তারা আশ্বস্ত করেছেন, ঐতিহাসিক নির্বাচন করবেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা । আর সেই কারণে, দল বিএনপি, নেতা তারেক রহমান, বেগম জিয়া এবং দেশবাসী সরকারকে সমর্থন করছে। আমাদের পক্ষ থেকে, বিএনপির পক্ষ থেকে, সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দাবি ছিল ডিসেম্বরে নির্বাচন, কিন্তু তারা বলেছে ফেব্রুয়ারি লাগতে পারে। আমরা সেটা অস্বীকার করিনি। কিন্তু ফেব্রুয়ারি যেন মার্চ না হয়, ফেব্রুয়ারি যেন এপ্রিল না হয়। এটি সরকারকে মনে রাখতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের ডা. মো. এ বি সিদ্দিক হাওলাদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমিন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া সহ প্রমুখ।