Image description
 

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ’সঠিক কৌশলগত বোঝাপড়া’ গড়ে তুলে ভারত ও চীনকে একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সোমবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

 

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সংলাপ ও যোগাযোগ ধীরে ধীরে পুনরায় শুরু হয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহযোগিতার পথে ফিরে আসছে বলেও ওয়াং ই মন্তব্য করেন।

বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, সীমান্ত শান্তি, বাণিজ্যিক ইস্যু, তীর্থযাত্রা, জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ, নদীর তথ্য বিনিময়, সীমান্ত বাণিজ্য ও যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব আলোচনা দুই দেশের মধ্যে একটি স্থিতিশীল, সহযোগিতামূলক ও ভবিষ্যতপন্থী সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

ওয়াং ই বলেন, বড় রাষ্ট্র হিসেবে ভারত ও চীনের উচিত অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঐক্য ও শক্তিবৃদ্ধির উদাহরণ তৈরি করা। ‘ভারত ও চীনকে সঠিক কৌশলগত বোঝাপড়া গড়ে তুলে একে অপরকে সুযোগ ও অংশীদার হিসেবে দেখা উচিত, হুমকি বা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়,’—বলেন তিনি।

 

 

 

দুই দিনের সফরে সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সফরে তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সীমান্ত বিষয়ক ২৪তম দফা আলোচনা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

এর আগে বৈঠকের শুরুতে জয়শঙ্কর বলেন, সীমান্ত ইস্যু আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, ভারত-চীন সম্পর্কের যেকোনো ইতিবাচক অগ্রগতির ভিত্তি হচ্ছে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখার সক্ষমতা। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক একটি কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। এখন আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য উভয় পক্ষের খোলামেলা ও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য।’

 

 

 

জয়শঙ্কর সীমান্তে বিপুলসংখ্যক সেনা প্রত্যাহারের গুরুত্বও তুলে ধরেন। ২০২০ সালে পশ্চিম হিমালয়ে সংঘটিত সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় ও ৪ জন চীনা সেনার প্রাণহানি ঘটে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তীব্রভাবে অবনতি ঘটে।

তবে চলতি বছরের অক্টোবরে রাশিয়ায় চীন-ভারত শীর্ষ বৈঠকের পর সেনা উত্তেজনা হ্রাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা উষ্ণতা ফিরতে শুরু করেছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর এ সফরের কয়েক দিন পরই সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।