Image description
 

ইউক্রেন যদি ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের চিন্তা থেকে সরে আসে এবং ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা বাদ দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করা হবে। হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসার আগে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এমন শর্ত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

আজ সোমবার জেলেনস্কিসহ ইউরোপের কয়েক দেশের নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। যেটিকে ট্রাম্প ‘হোয়াইট হাউসের বড় দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে বসার আগে জেলেনস্কিকে দেওয়া ওই শর্ত ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন। ট্রাম্প যে শর্তের কথা উল্লেখ করেছেন তা আলাস্কা বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া প্রস্তাবের মতোই। বৈঠকে পুতিন দাবি করেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে ইউক্রেনকে দোনেৎস্ক অঞ্চল হস্তান্তর করতে হবে। দোনেৎস্কে ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল ডনবাসের একাংশ অবস্থিত। 

এদিকে ইউরোপের শীর্ষ নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কিকে ট্রাম্প দোনেৎস্কের মতো খনিজ সমৃদ্ধ শিল্পাঞ্চল হস্তান্তর করতে বাধ্য করতে পারেন। এই অঞ্চল রক্ষা করতে তারা হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন। 

বৈঠকের আগে গতকাল রোববার ট্রুথ সোশ্যালে আরেকটি পোস্ট দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, কাল (সোমবার) হোয়াইট হাউসে বড় দিন। একসঙ্গে এতো ইউরোপীয় নেতা এর আগে কখনো হোয়াইট হাউসে আসেননি। তাদের আতিথেয়তা দেওয়াটা বড় সম্মানের।

এদিকে সিএনএনকে যুক্তরাষ্ট্রের দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিন একটি ‘মজবুত’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা অনুমোদন দিয়েছেন। এটির আওতায় ইউক্রেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অর্থ্যাৎ, শান্তি চুক্তির পরও রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ যৌথভাবে কিয়েভকে প্রতিরক্ষা সুরক্ষা দেবে। উইটকফ আরও বলেন, এই প্রতিশ্রুতির আওতায় রাশিয়া ভবিষ্যতে ইউক্রেন কিংবা অন্য কোনো ইউরোপীয় দেশে আক্রমণ করবে না।

সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো এমন কোনো চুক্তির কথা জানানো হয়নি। তবে এই চুক্তির প্রতিশ্রুতিগুলো ন্যাটোর আর্টিকেল-৫ এর মতো। এক ইউরোপীয় কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্য এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ন্যাটো সরাসরি যুক্ত থাকবে না। কিন্তু ন্যাটোর নিরাপত্তা কৌশলের মতো করেই ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেওয়া হবে।