Image description

আসাম সরকার রোববার থেকে বিশ্বনাথ জেলায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। ফলে ৩০৯টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, জাপারিগুড়ির ভিলেজ গ্রেজিং রিজার্ভ (ভিজিআর) এর প্রায় ১৭৫ বিঘা বা ২৩ হেক্টর জমির উপর দখল উচ্ছেদের জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসক সীমান্ত কুমার দাস বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। ১৭৫ বিঘা জমিতে ৩০৯টি পরিবার দখল করেছিল। ১৫ দিনের মধ্যে এলাকা খালি করার জন্য ১ আগস্ট তাদের নোটিশ জারি করা হয়েছিল।’

 

তিনি বলেন, সমস্ত পরিবার ইতিমধ্যেই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে এবং তাদের অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলেছে। সেখানে একটি বড় চা বাগানও ছিল। পরে বনায়ন অভিযানের জন্য এটি এখন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। 

ডিসি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে ৬০০ নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল এবং ২০টি খননকারী যন্ত্র, কয়েক ডজন ট্রাক্টর ব্যবহার করা হয়েছিল। 

অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, দখলদাররা বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলিম সম্প্রদায়ের। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএএমএসইউ) এর সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলী সরকার অভিযোগ করেছেন যে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার ‘অমানবিকভাবে’ মানুষকে উচ্ছেদ করছে।

‘মিঞা’ মূলত আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদের জন্য ব্যবহৃত একটি অবমাননাকর শব্দ এবং অবাঙালি ভাষাভাষী লোকেরা সাধারণত তাদেরকে বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সম্প্রদায়ের কর্মীরা এই শব্দটিকে অবাধ্যতার ইঙ্গিত হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন।

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে, ‘আগ্রাসন’ নিম্ন ও মধ্য আসামের জনসংখ্যার পরিবর্তন করেছে এবং উত্তর আসামেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

সূত্র : এনডিটিভি