
ইসরায়েলের কট্টরপন্থী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির কারাগারে গিয়ে সবচেয়ে আলোচিত ফিলিস্তিনি নেতা ও বন্দী মারওয়ান বারঘুতিকে অপমান করছেন, এমন একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যা দেখে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনি সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে বেন গভির নিজেই তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে ভিডিওটি প্রকাশ করেন।
৬৬ বছর বয়সী বারঘুতি ২০০২ সালে পাঁচজন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিককে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। তিনি বর্তমানে পাঁচটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। দীর্ঘদিন পর এবারই প্রথম তার কোনো ভিডিও প্রকাশিত হলো, যেখানে তাকে রুগ্ন ও অসুস্থ অবস্থায় দেখা গেছে।
মাত্র ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে বেন গভির বারঘুতিকে হুমকি দিয়ে বলছেন, ‘যারা ইসরায়েলের জনগণের ক্ষতি করে, শিশু হত্যা করে কিংবা নারী হত্যা করে, তাদের আমরা নিশ্চিহ্ন করে দেব।’
বারঘুতি ভিডিওতে কিছু বলার চেষ্টা করেন- ‘তুমি জানো…’, এরপরই বেন গভির তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না না, এটা তোমাকেই জানতে হবে, ইতিহাস জুড়েই এটা সত্য।’ এরপর হঠাৎ করেই ভিডিওটি শেষ হয়ে যায়।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, মারওয়ান বারঘুতি সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি রাজনীতিক। কারাগারে থাকায় তার প্রতি ফিলিস্তিনিদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আরও বাড়িয়েছে। যদিও তিনি যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন, তবে অনেকের চোখে বারঘুতিফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত।
সাধারণত বারঘুতিকে খুব কমই দেখা যায়। তবে তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা। ফিলিস্তিনি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম এমন কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি অন্যতম।
একাধিকবার ফিলিস্তিনিরা তার মুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন, যার মধ্যে বর্তমান যুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরতি আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু ইসরায়েল বারঘুতিকে মুক্তি দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে সব সময়ই অস্বীকৃতি জানিয়েছে।