Image description
 

একসময় সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন মাহা আলি। এখন তিনি ও গাজার অন্য শিক্ষার্থীদের একমাত্র চিন্তা—ক্ষুধার মধ্যে খাবার জোগাড় করা। যুদ্ধের কারণে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

 

আলি মনে করেন, প্রায় দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় তাদের প্রজন্ম শিক্ষার সুযোগ হারিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং উপত্যকার বড় অংশ ধ্বংস হয়েছে।

ফিলিস্তিনি শিক্ষামন্ত্রী জানান, ৩০৭টি স্কুলের মধ্যে ২৯৩টি আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, গাজার ৯৭ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত, যার ৯১ শতাংশের বড় ধরনের মেরামত বা পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন।

 

১৯ বছর বয়সী ইয়াসমিন আল-জাআনিন ও সাজা আদওয়ান, দুই শিক্ষার্থী, এখন আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছেন। যুদ্ধ তাদের বই, পড়াশোনার উপকরণ, স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ কেড়ে নিয়েছে। সাজা বলেন, “আমার পড়াশোনা, জীবন, ভবিষ্যৎ—সবই ছিল সেই ইনস্টিটিউটে। সব ধ্বংস হয়ে গেছে।”