Image description

গাজায় বেঁচে থাকা ‘ক্রমশ অসম্ভব’ হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যামনেস্টি ডেনমার্কের প্রধান

শনিবার (১১ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইব ক্লারুপ অ্যামনেস্টির অনুসন্ধানের উপর জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে।

ডিসেম্বরে বিশ্বব্যাপী এ সংস্থাটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার উপসংহারে এ কথা বলা হয়েছে।

উপসংহারে ক্লারুপ বলেন, ‘ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে। যখন আমরা বলি ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন এটি কোনো মতামত নয়, এটি একটি আইনি। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে একটি উপসংহার।’

তিনি আরো বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় বেঁচে থাকা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে উঠছে...। জনগণ হিসেবে আমাদের ভূমিকা হলো এই গণহত্যা বন্ধ করা।’

এদিকে গাজা উপত্যকায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় আরো ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৯৩ জন। এ নিয়ে মোট আহত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ৯ হাজার ৫৭১ ফিলিস্তিনি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বেশি। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে
সূত্র : আল-জাজিরা