
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি আছেন, তবে তার আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদল পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেই কেবল এ বৈঠক সম্ভব—সোমবার এমন মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। খবর আরটির।
জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, রাশিয়ার সঙ্গে অর্থবহ আলোচনার জন্য নেতৃবৃন্দের সরাসরি সম্পৃক্ততা জরুরি। তবে মস্কো বলছে, জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এবং বৈঠকের আগে একটি ব্যাপক পরিসরে শান্তিচুক্তির খসড়া প্রস্তুত হওয়া দরকার।
নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পেসকভ বলেন, বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে যথাযথ কাজ শেষ হওয়ার পর এবং প্রক্রিয়ার যথেষ্ট দূরত্ব অতিক্রমের পরই পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক সম্ভব।
২০২৪ সালে জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও, তিনি এখনো ক্ষমতায় রয়েছেন। ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে স্পিকারকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা। যদিও যুদ্ধকালীন আইন অনুযায়ী দেশটিতে নির্বাচন নিষিদ্ধ এবং সংসদ সদস্যদের মেয়াদ বাড়ানোর বিধান থাকলেও, প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে তেমন কোনো স্পষ্ট বিধান নেই।
রাশিয়া বলছে, জেলেনস্কির এই বিতর্কিত অবস্থান ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও তিনি কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি সই করলে তা আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
এদিকে জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, পুতিনের সঙ্গে তার সরাসরি আলোচনা না করার মানে হলো, মস্কো প্রকৃতপক্ষে শান্তি চায় না। আর এই যুক্তি দেখিয়েই তিনি পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তারা অস্ত্র সহায়তা ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ায়।
তবে ইউক্রেনীয় কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে স্থগিত হওয়া রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা আবারও শুরু করেছে কিয়েভ, যাতে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ইউক্রেনকে শান্তির অন্তরায় মনে না হয়। চলতি বছরের মে মাস থেকে ইস্তান্বুলে এমন তিনটি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার ফলে কয়েকটি বন্দি বিনিময় ও রুশ বাহিনীর হাতে নিহত হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।