
বৃহত্তর বাংলাদেশের কথিত মানচিত্র প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত সরকারের নজরে এসেছে যে, ভারতের কিছু অংশ নিয়ে তথাকথিত 'বৃহত্তর বাংলাদেশ'-এর একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ইসলামিক সংগঠন ‘সালতানাত-ই-বাংলা’। এই সংগঠনটির পেছনে তুর্কি যুব ফেডারেশন নামের একটি তুর্কি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সমর্থন রয়েছে।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার প্রশ্নের জবাবে এস জয়শঙ্কর এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, এই ‘বৃহত্তর বাংলাদেশের’ মানচিত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলে এমন ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে জয়শঙ্করকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ফ্যাক্ট-চেকার প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাফ্যাক্ট’ দাবি করেছে, বাংলাদেশে ‘সালতানাত-ই-বাংলা’-এর কার্যক্রম চালানোর কোনও প্রমাণ নেই। তবে তথাকথিত পূর্ববর্তী বাংলা সালতানাতের প্রসঙ্গে একটি ঐতিহাসিক প্রদর্শনীতে এই মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে মানচিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিল।
এর আগে ভারতের অংশবিশেষসহ একটি মানচিত্রের ছবি ফেসবুকে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে সমালোচনার পর তা সরিয়ে ফেলেন।