
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ ঘোষণা দেয়।ঘোষণায় বলা হয়, এসব সংগঠন ‘সন্ত্রাসে সমর্থন’ ও ‘শান্তি প্রচেষ্টাকে অস্থিতিশীল করার’ চেষ্টা করছে। এর ফলে, পিএ ও পিএলও-র সদস্যরা এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য ভিসা পাবেন না।
পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, পিএ ও পিএলও তাদের আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি মানেনি এবং শান্তির সম্ভাবনা ধ্বংস করেছে। তাই আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
পিএ ও পিএলও ফিলিস্তিনি জনগণের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিত্ব করে এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য কাজ করে আসছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দাবি, এই সংগঠন দুটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, বিশেষ করে ২০০২ সালের মিডল ইস্ট পিস কমিটমেন্টস অ্যাক্ট।
বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চাওয়ার বিষয়টিকে ‘সংঘাত আন্তর্জাতিকীকরণ’ বলে উল্লেখ করে এর বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া, পিএ ও পিএলও-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে উৎসাহ, সহিংসতার প্রশংসা এবং ফিলিস্তিনিদের ও তাদের পরিবারকে অর্থ প্রদান ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে তারা।
পররাষ্ট্র দপ্তর উদাহরণ হিসেবে ফিলিস্তিনের পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু উল্লেখ করেছে, যেগুলো নাকি ‘সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেয়’।
উল্লেখ্য, ইসরাইল প্রায় ২২ মাস ধরে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এ যুদ্ধকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ইতোমধ্যে ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অবরোধের কারণে লাখো মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।