Image description

সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এবার প্রথমবারের মতো সিরিয়ায় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশটির নির্বাচনী কমিটির প্রধান মোহাম্মদ তাহা আল-আহমাদ রোববার (২৭ জুলাই) রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানাকে জানান, আগামী ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। খবর আল জাজিরার। 

এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে, যারা গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

২১০টি আসনের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ (৭০টি আসন) মনোনীত করবেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বাকি আসনগুলোর জন্য ভোট হবে।

নির্বাচনী কমিটির আরেক সদস্য হাসান আল-দাগহিম সম্প্রতি ইরেম নিউজকে বলেন, দেশের প্রতিটি প্রদেশেই একটি করে ইলেক্টোরাল কলেজ গঠন করা হবে, যারা নির্বাচিত আসনের জন্য ভোট দেবেন।

এ বছরের মার্চে আহমেদ আল-শারা একটি অস্থায়ী সংবিধানে স্বাক্ষর করেন, যেখানে একটি ‘পিপলস কমিটি’ গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এটি একটি অস্থায়ী সংসদ হিসেবে কাজ করবে, যতক্ষণ না একটি স্থায়ী সংবিধান গৃহীত হয় এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ায় কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।

নির্বাচনের এই ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন দেশটিতে নতুন সরকারের প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমেই বিভক্ত হয়ে পড়ছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় সুইদা প্রদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশটির সংকটাপন্ন পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হয়। সহিংসতার সূচনা হয় বেদুইন গোষ্ঠি এবং দ্রুজদের মধ্যে।

সরকারি বাহিনী সংঘর্ষ থামানোর নামে হস্তক্ষেপ করে, কিন্তু কার্যত বেদুইন গোত্রগুলোর পক্ষ নেয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি সৈন্যরা দ্রুজ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে এবং তাদের ঘরবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

দ্রুজ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার দাবি তুলে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটি জানায়, তারা দ্রুজ সংখ্যালঘুদের রক্ষার স্বার্থেই এই হামলা চালিয়েছে।