
ইরাকের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিস্তানি গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে নিরব দর্শক না হয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক তীব্র বিবৃতিতে তিনি গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞে দুই বছরের কাছাকাছি সময়ে লক্ষাধিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। শহর ও আবাসিক এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিরা আজ এক বিভীষিকাময় পরিবেশে দিন কাটাচ্ছে।’
আয়াতুল্লাহ সিস্তানি বলেন, ‘গাজায় দুর্ভিক্ষ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ক্ষুধা ও বঞ্চনার প্রভাব থেকে কোনো শ্রেণি বা বয়সের মানুষই রেহাই পাচ্ছে না।’
তিনি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ‘অমানবিক বর্বরতা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে উৎখাত করতে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা নতুন কিছু নয়।’
এই সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকাকে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। আয়াতুল্লাহ সিস্তানি বলেন, ‘এটি তাদের নৈতিক এবং ধর্মীয় দায়িত্ব যে তারা এই মহামানবিক বিপর্যয় চলতে দেবে না।’
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা গাজায় দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে আগেই বারবার সতর্ক করেছে। এই প্রেক্ষাপটে আয়াতুল্লাহ সিস্তানির সরাসরি ও কঠোর ভাষায় হস্তক্ষেপের আহ্বান এ সংকটের গভীরতাকেই তুলে ধরছে।
সাম্প্রদায়িক সীমারেখা অতিক্রম করে আয়াতুল্লাহ সিস্তানি বিশ্বজুড়ে সম্মানিত একজন ধর্মীয় নেতা। তবে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে তিনি খুব কমই এভাবে সরাসরি বিবৃতি দেন, যা বর্তমান পরিস্থিতির জটিলতা ও গভীর সংকটের ইঙ্গিত দেয়।