Image description

রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচ নেতা গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) পুলিশের হাতে আটক হন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি ছাত্রনেতাদের চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

পোস্টে রাশেদ খাঁন লিখেছেন, এক জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার সময় জানতে পারেন, বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সব কাজ তদারকি করার নির্দেশনা রয়েছে। এসব প্রতিনিধি বদলি, নিয়োগ, প্রমোশনসহ নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি নিজেও এমন কয়েকটি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানান।

রাশেদ উল্লেখ করেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা তাকে বলেছেন, আন্দোলনের পর কয়েকজন সমন্বয়ক কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। তাদের আচরণ ছিল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মতো। এমনকি তিনিও যখন সহ-সমন্বয়ক হিসেবে কোথাও গিয়েছেন, সে অনুভূতিও পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত ক্ষমতা তরুণদের পথভ্রষ্ট করেছে। এর জন্য তিনি দায়ী করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ, এনজিও ব্যক্তিত্ব, আমলা ও মানবাধিকার কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

রাশেদ খাঁনের দাবি, গণ-অভ্যুত্থানের পরে তরুণদের যেভাবে প্রশাসনে বসানো হয়েছে, তাতে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তার মতে, ৮ আগস্টকে ‘বিপ্লব বেহাত দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এর পেছনে থাকা শক্তিগুলোকে চিহ্নিত করা উচিত।

শীর্ষনিউজ