Image description

রাশিয়া শুক্রবার সফলভাবে ইরানের একটি যোগাযোগ উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠিয়েছে, যা দুই দেশের দৃঢ় সম্পর্কের প্রতিফলন।

রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলের ভোস্তোচনি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সয়ুজ রকেট নির্ধারিত সময় অনুযায়ী উৎক্ষেপণ করা হয়। এতে ইরানের ‘নাহিদ-২’ উপগ্রহসহ দুটি রুশ ‘আয়োনোস্ফিয়ার-এম’ পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ এবং আরও ১৭টি ছোট রুশ উপগ্রহ ছিল, যেগুলো নির্ধারিত কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।

নাহিদ-২ নামের ইরানি উপগ্রহটির ওজন ১১০ কেজি (২৪২ পাউন্ড)। এটি ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) উচ্চতায় পৃথিবীর কক্ষপথে দুই বছর মেয়াদে কাজ করবে।

এর আগে ২০২২ ও ২০২৪ সালে রাশিয়া ইরানের আরও দুটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রাশিয়া ইরানের বেসরকারি খাতের হয়ে ‘কওসার’ ও ‘হোদহোদ’ নামে দুটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাশিয়া ও ইরান ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তি স্বাক্ষর করে। গত মাসে ইরানের ওপর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মস্কো। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি এমন একটি সমাধানে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত, যার মাধ্যমে তেহরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারবে এবং একইসাথে ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগও প্রশমিত হবে।

তবে পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, তেহরান রাশিয়ার কাছে কোনো সামরিক সহায়তা চায়নি এবং পার্টনারশিপ চুক্তিতেও এমন কোনো সহায়তার উল্লেখ নেই।

মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই একটি সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে চলছে—একদিকে যেমন ইসরায়েলের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে গড়ে তুলেছে দৃঢ় অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক।