
আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। এই ঘোষণা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।বৃহস্পতিবার এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এটি ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত’ করার শামিল এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ম্যাক্রোঁর ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, এই সিদ্ধান্তে গাজার মতো আরেকটি ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী শক্তি গড়ে ওঠার ঝুঁকি রয়েছে। যারা ইসরায়েলের পাশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায় না, বরং আমাদের ধ্বংস করতে চায়।’
এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ ফরাসি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার প্রমাণ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার অধিকারে প্রতি ফ্রান্সের সমর্থন দেখিয়ে দিচ্ছে।
হামাসও ফরাসি পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, এটি নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবিকে সমর্থন করে।
একইসঙ্গে তারা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে ফ্রান্সের পথ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।
এএফপির হিসাবে, এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪২টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বা স্বীকৃতির পরিকল্পনা করেছে। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, এটি একটি বেপরোয়া সিদ্ধান্ত, যা কেবল হামাসের প্রচারণাকে সহায়তা করবে। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত ৭ অক্টোবর হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মুখে চপেটাঘাত।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়।