
ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজের কড়া সমালোচনা বরাবরই কাঁপিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনীতির মঞ্চ। গাজায় ইসরাইল যে সহিংসতা চালাচ্ছে, তাকে তিনি শুধু ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলেই থামেননি, বরং তা স্পষ্ট করে ‘গণহত্যা’ হিসাবেও আখ্যায়িত করেছেন।
আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে তিনি বলেছেন, এই হত্যাযজ্ঞকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করছে একটি ‘অর্থনীতির জাল’-যেখানে যুক্ত আছে বিশ্বের ৪৮টি প্রতিষ্ঠান। যার বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের।
আর এই বক্তব্য সরাসরি আঘাত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মেরুদণ্ডে। ইসরাইলকে সামরিক, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সহায়তায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই।
আলবানিজের অভিযোগে পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রও গাজা গণহত্যার সহায়ক শক্তি হিসাবে উঠে আসে। এরই মধ্যে আসে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গও। ফলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে তাকে লক্ষ্য করে আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা। চলতি মাসের শুরুর দিকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের চলমান দমন-পীড়ন ও সম্ভাব্য গণহত্যায় সহায়তাকারী ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা প্রকাশ করেন আলবানিজ। তিনি বলেছেন, এসব কোম্পানির সহায়তা না পেলে ইসরাইল এত সহজে গণহত্যা চালাতে পারত না। ৩ জুলাই জেনেভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে আলবানিজ অন্যতম কণ্ঠস্বর হিসাবে পরিচিত।