Image description
 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণ এবং জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষার একমাত্র পথ হচ্ছে বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনা। দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়— আমাদের কাছে সবার আগে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ডেমরা থানা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে কেবল আওয়ামী লীগ নয়, বরং সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ এবং অস্ত্রধারীদেরও বাদ দিতে হবে। এছাড়া যারা দলের নাম ব্যবহার করে জনগণকে হয়রানি করে, তাদেরকে বিএনপির সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।

সারুলিয়া বাজারের মনু মোল্লা মার্কেটের রেডসান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব মনির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও সাবেক চেয়ারম্যান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন তানভীর আহমেদ রবিন, সদস্য সচিব, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিশেষ সহকারি বিএনপি চেয়ারপার্সনের ও পররাস্ট্র বিষয়ক উপদেষ্ঠা কমিটি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নবী উল্লাহ নবী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রার্থী এস এম রেজা চৌধুরী সেলিম, সদস্য সচিব প্রার্থী আনিসুজ্জামান।

 

বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, বিএনপি একটি ঐতিহাসিক ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল, যার একমাত্র দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি। আজ দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর, বৈদেশিক নীতিতে অস্থিরতা, এবং এমনকি মানচিত্র পর্যন্ত হুমকির মুখে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতেই হবে। তিনি আরও বলেন, শুধু বিজয় পেলেই চলবে না— প্রতিটি নেতাকর্মীকে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে, প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে ইশরাক বলেন, বর্তমান কমিশন রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছে এবং শুধু সময়ক্ষেপণ করছে। কিন্তু নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই বিশ্বাস করতে চাই না।

 

আন্দোলনের প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক বলেন, টানা ৪০ দিন আমরা রাজপথে থেকেছি, সরকার কোনো সহানুভূতি দেখায়নি। তবে এই আন্দোলনের কারণেই তারা লন্ডনে গিয়ে আমাদের নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে। তিনি নবগঠিত এনসিপি দলকে বলেন, তারা ভাবে কোটি কোটি মানুষ তাদের সঙ্গে রয়েছে। কেউ আবার বলেছে, ৮ মিনিটেই যা বিএনপি ১৭ বছরে পারেনি, তারা তা করে দেখিয়েছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি, সামনে এসে পাঁচ মিনিট দাঁড়াতে পারবে কি না দেখি।

বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য ধরেছি, প্রতিশোধমূলক আচরণ করিনি। তবে প্রয়োজন হলে নেতার নির্দেশে দশ মিনিটেই সচিবালয় ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। কিন্তু আমরা চাই না এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক— আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, জনগণের ভোটেই পরিবর্তন চাই।