
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের বিমানযুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে বহু এয়ারলাইনের সেবা এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। জুনের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও আকাশপথ বন্ধ থাকা এবং নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এখনও বিমান চলাচলে প্রভাব ফেলছে।
২০ দিনের ফ্লাইট স্থগিতাদেশের পর তেহরানের প্রধান ইমাম খোমেইনি বিমানবন্দর ৪ জুলাই চালু হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার কারণে ওই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের কারণে এখনও অনেক বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট বাতিল করতে বা স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
এই অঞ্চলটিতে ফ্লাইট বাতিল করা কিছু এয়ারলাইনের তালিকা দেওয়া হলো:
এজিয়ান এয়ারলাইন্স
গ্রিসের এই এয়ারলাইন ১০ জুলাই থেকে বৈরুত রুটে جزভাগ ফ্লাইট চালু করবে। ১৬ জুলাই থেকে এরবিল এবং ১৯ জুলাই থেকে আম্মান রুটে ফ্লাইট চালু হবে। তেল আবিব রুটের ফ্লাইট বাতিল ৮ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এয়ার এরাবিয়া
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বল্পমূল্যের এই এয়ারলাইন ১০ জুলাই থেকে দামাস্কাস রুটে ফ্লাইট পুনরায় চালু করবে।
এয়ার বাল্টিক
লাটভিয়ার এই এয়ারলাইন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তেল আবিবগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
এয়ার কানাডা
কানাডিয়ান এই সংস্থা টরন্টো থেকে দুবাই রুটের ফ্লাইট ৪ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছে। কানাডা ও ইসরায়েলের মধ্যকার ফ্লাইট ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
এয়ার ইউরোপা
স্পেনের এই এয়ারলাইন তেল আবিবগামী ফ্লাইট ১৩ জুলাই পর্যন্ত বাতিল করেছে। ১৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহে চারদিন (সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও রবি) ফ্লাইট চালাবে এবং ১ আগস্ট থেকে শনিবার বাদে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ারলাইনটি।
এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম
গ্রুপটির ডাচ অংশ কেএলএম জানিয়েছে, ৩০ আগস্ট পর্যন্ত তেল আবিবগামী সব ফ্লাইট বাতিল থাকবে।
ডেল্টা এয়ার লাইন্স
এই মার্কিন এয়ারলাইন বলেছে, ১২ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেল আবিবগামী বা সংযুক্ত রুটে ভ্রমণ বিঘ্নিত হতে পারে।
এমিরেটস
এমিরেটস ১৭ জুলাই পর্যন্ত তেহরান রুটের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ফিনএয়ার
ফিনল্যান্ডের এই সংস্থা জানিয়েছে, ১০ জুলাই থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দোহাগামী ফ্লাইট ২৫-৩০ মিনিট আগে ছাড়বে। তারা বর্তমানে ইরাক, ইরান, সিরিয়া বা ইসরায়েলের আকাশসীমা ব্যবহার করছে না।
আইএজি
আইএজি’র মালিকানাধীন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ৩১ জুলাই পর্যন্ত তেল আবিব রুটের ফ্লাইট স্থগিত রেখেছে। তাদের স্বল্পমূল্যের সংস্থা আইবেরিয়া এক্সপ্রেস ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত তেল আবিবগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে।
আইটিএ এয়ারওয়েজ
ইতালির এই সংস্থা ৩১ জুলাই পর্যন্ত তেল আবিবগামী ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ১ আগস্টের দুটি ফ্লাইটও এর আওতাভুক্ত।
লুফথানসা গ্রুপ
লুফথানসা ৩১ জুলাই পর্যন্ত তেল আবিব এবং ১৭ আগস্ট পর্যন্ত তেহরানগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। আম্মান রুটের ফ্লাইট ১১ জুলাই পর্যন্ত বাতিল থাকবে।
পেগাসাস
তুরস্কের এই সংস্থা জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত ইরানগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
কাতার এয়ারওয়েজ
এই কাতারি এয়ারলাইন জানিয়েছে, ইরানগামী ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।
রায়ানএয়ার
রায়ানএয়ার ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত তেল আবিব এবং আম্মান রুটের ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স
এই মার্কিন সংস্থা ২১ জুলাই থেকে তেল আবিব রুটে ফ্লাইট চালু করবে এবং ২২ জুলাই থেকে দৈনিক দ্বিতীয় ফ্লাইটও চালু হবে।
উইজ এয়ার
হাঙ্গেরির এই এয়ারলাইন ৮ আগস্ট থেকে তেল আবিব রুটে ফ্লাইট চালু করবে। আম্মান রুটের ফ্লাইট ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
সূত্র: রয়টার্স