Image description

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিযানে চীনের বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ করেছে জার্মানি। দেশটির অভিযোগ, মিশনের একটি বিমানকে নিশানা করে লেজার নিক্ষেপ করেছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামুদ্রিক নিরাপত্তা মিশনে অংশ নেওয়া জার্মানির একটি বিমানের দিকে চীনের সেনাবাহিনী লেজার নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দেশটি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জার্মান কর্মীদের জীবনের ঝুঁকিতে ফেলা এবং মিশনের কাজে বিঘ্ন ঘটানো সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। যদিও, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বার্লিনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ বিমানটি ছিল ইইউর ‘আস্পিডেস’ মিশনের অংশ, যার কাজ লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নৌপথগুলো রক্ষা করা। এই বিমানটি অক্টোবর থেকে অঞ্চলটির ওপর নজরদারির কাজে একটি মাল্টি-সেন্সর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। এটি মূলত আকাশে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে থাকে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘একটি চীনা যুদ্ধজাহাজ কোনো ধরনের পূর্বসংবাদ বা যোগাযোগ ছাড়াই রুটিন নজরদারি অভিযানের সময় ওই বিমানের দিকে লেজার তাক করে।’ তিনি আরও জানান, ওই এলাকায় আগেও একাধিকবার ওই যুদ্ধজাহাজ দেখা গেছে।

তিনি বলেন, লেজার ব্যবহার করে যুদ্ধজাহাজটি বিমান ও বিমানে থাকা কর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তখনই বিমানটির মিশন বাতিল করা হয় এবং সেটি নিরাপদে জিবুতির ঘাঁটিতে অবতরণ করে।

জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই নজরদারি প্ল্যাটফর্মটি পরিচালনা করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, তবে এতে জার্মান সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছেন। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিত্রদের নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

চীন অতীতেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন লেজার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে ইউরোপের কোনো ন্যাটো সদস্যের সঙ্গে চীনের এমন সংঘর্ষ বিরল ঘটনা।

এর আগে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, গুয়ামের কাছে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় একটি মার্কিন নৌবাহিনীর টহল বিমানের দিকে চীনের একটি যুদ্ধজাহাজ লেজার নিক্ষেপ করেছিল। তখন চীন বলেছিল, এই অভিযোগ সত্য নয়।