Image description

যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সফর করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সফরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এ বৈঠককে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বৈঠক গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ ছিল। আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায় উঠে এসেছে।

সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যুবরাজ শান্তির পক্ষে কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।

আরাগচি সৌদি আরবকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া তিনি সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা উসকানিতে ইরানে হামলা চালায়। এতে বহু সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ নিহত হন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। জবাবে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের কাতার ঘাঁটিতে হামলা চালায়। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্ততাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।

যদিও কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে, তেহরান এই সংকটেও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে রিয়াদ-তেহরান সম্পর্ক ছিন্ন হলেও ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় তা পুনঃস্থাপন হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সম্প্রতি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে, তবে বিশ্বাস পুনর্গঠন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

আরাগচিও ফিনান্সিয়াল টাইমসে লেখেন, ইরান শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী, তবে তা হতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যায্য আলোচনায় আন্তরিক হতে হবে।