
চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বেড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে। সোমবার (৭ জুলাই) মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মার্ক রুটে বলেন, “আজ ইউক্রেনে যা ঘটছে, আগামী দিনে হয়তো তাইওয়ানেও ঘটবে। রাশিয়া ও চীনের নিবিড় সম্পর্ক পশ্চিমা বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। যদি এখনই এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করা হয়, তাহলে মানবসভ্যতা এক ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতের মুখে পড়তে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “এই যুদ্ধ যদি সত্যিই শুরু হয়, তাহলে তা আগের দুই বিশ্বযুদ্ধের তুলনায় অনেক বেশি প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক হবে। ইউরোপের অনেক দেশ এ আশঙ্কায় এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে শুধু অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নামলেই চলবে না, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পূর্ণ ঐক্য ছাড়া এই সংকট ঠেকানো সম্ভব নয়।”
এদিকে, সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কালাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ওই বৈঠকে তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চীন কখনও রাশিয়াকে পরাজিত হতে দেবে না।
চীনের অবস্থানের পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করে ওয়াং ই বলেন, “যদি রাশিয়া এই যুদ্ধে পরাজিত হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের নজর ঘুরে পড়বে চীনের দিকে। তখন এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে টানাপোড়েন শুরু হবে, যার ভয়াবহ পরিণতি পুরো বিশ্বের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের মন্তব্য বৈশ্বিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে। আর ন্যাটো মহাসচিবের সতর্কবার্তা এই সংকটকে আরও বাস্তব করে তুলেছে।