
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর পেরিয়ে গেছে ছয় দিন। তবে, এখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়েছে এই সংঘাত। এবার সে আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করল ‘নিহত’ নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানির টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থিত হওয়া। ১৩ জুন যুদ্ধের শুরুর দিনই শামখানি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইরান-ইসরায়েল দুই পক্ষই। তবে, গতকাল শনিবার সম্পূর্ণ সুস্থা অবস্থায় যুদ্ধে নিহতদের জানাজায় উপস্থিত হয়েছে শামখানি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি জানিয়েছে এ তথ্য।
গত ১৩ জুন শামখানিকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েল। পরে ইরানও তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পরে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় জানাজার আয়োজন করে ইরান, যে জানাজায় নামাজ পড়া হয় শামখানির জন্যও। কিন্তু, তারপরও শামখানির মৃত্যু নিয়ে ছড়ায় নানা জল্পনা-কল্পনা।
তবে গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আইআরআইবিতে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে হঠাৎ করেই দেখা যায় আলি শামখানিকে—সম্পূর্ণ জীবিত এবং সুস্থ অবস্থায়। একই দিনে তিনি অংশ নেন নিহতদের সম্মানে আয়োজিত জানাজা অনুষ্ঠানে, যার ছবি প্রচার করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
সাক্ষাৎকারে শামখানি জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় তাঁর বাসভবন ধসে পড়ে এবং তিনি প্রায় তিন ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকেই ফজরের নামাজ আদায় করি। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি ভূমিকম্প। কিন্তু যখন গাড়ির শব্দ শুনি, তখন বুঝতে পারি যে এটি একটি সামরিক হামলা ছিল।’
এর আগে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, শামখানি নিহত হননি, বরং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ না পাওয়ায় এ সংক্রান্ত বিভ্রান্তি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় টিভি ও সংবাদমাধ্যমে তাঁর উপস্থিতি এবং সরাসরি সাক্ষাৎকারে অবসান ঘটল সব জল্পনার।