Image description
 

গাঁজার অবাধ ব্যবহারে লাগাম টানতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। তিন বছর আগে গাঁজা বৈধ করার পর এবার কঠোর নিয়ন্ত্রণে ফিরছে দেশটি। এখন থেকে গাঁজা কিনতে প্রয়োজন হবে ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন।

মঙ্গলবার এক সরকারি আদেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুয়েতিন ঘোষণা দেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো দোকানে গাঁজা বিক্রি করা যাবে না। একই সঙ্গে গাঁজা ফুলকে ‘নিয়ন্ত্রিত ভেষজ’ হিসেবে পুনঃশ্রেণিকরণের প্রস্তাব দেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ভবিষ্যতে গাঁজাকে পুনরায় মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে আমি আগ্রহী।”

 

তবে গাঁজা বৈধকরণের প্রবক্তা জোটসঙ্গী ভুমজাইথাই পার্টির বাধায় সরকার এখনই গাঁজাকে আবার মাদক হিসেবে ঘোষণা দিতে পারেনি।

 

সরকারি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাঁজা বৈধ হওয়ার পর পর্যটকদের মাধ্যমে দেশ থেকে গাঁজা পাচার বেড়েছে, এবং আসক্তির হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

থাইল্যান্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মহাসচিব ফানুরাত লুকবুন জানান, তার সংস্থা ইতোমধ্যেই নতুন নিয়ম বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। তবে কবে নাগাদ তা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি।

সরকারি মুখপাত্র জিরায়ু হউংসাব এক বিবৃতিতে জানান, “দেশজুড়ে অসংখ্য দোকানে গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। শিশু ও সাধারণ মানুষের জন্য এটি সহজলভ্য হয়ে গেছে। অথচ আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান।”

এই ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভে নেমেছে গাঁজা বৈধকরণের পক্ষের মানুষ। তাদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তারা আগামী মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন এবং নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ‘রুখে দাঁড়ানোর’ ঘোষণা দিয়েছেন।