Image description

ইরানের ওপর থেকে তেল নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি এখনো বহাল রয়েছে। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরানের পুনর্গঠনের জন্য তেল নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগে কিছুটা শিথিলতা আনা হতে পারে। রয়টার্স। 

ট্রাম্প বলেছেন, ‘দেশটাকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তাদের অর্থের প্রয়োজন হবে। আমরা চাই সেটা হোক।’ 

তবে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এর অর্থ এই নয় যে ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে। বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োগের মাত্রা কিছুটা বদলানো হতে পারে। এর আগের দিন ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইল ও ইরানের যুদ্ধবিরতির পর চীন চাইলে ইরানের কাছ থেকে তেল কিনতে পারবে। 

এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইরানি তেল কেনায় চীনের ‘টিপট’ রিফাইনারিসহ বেশ কয়েকটি স্বাধীন তেল শোধনাগার ও বন্দর টার্মিনাল অপারেটরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে বলেছেন, ‘ট্রাম্পের এই মন্তব্য চীনের প্রতি একটি ইতিবাচক বার্তা।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই, আমরা অর্থনীতিকে ক্ষতি করতে চাই না। আশা করি, এটা ইরানিদের জন্যও একটা বার্তা হবে।’ 

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির পর ইরান পুনর্গঠনের সুযোগকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র একদিকে কূটনৈতিক নমনীয়তা দেখাচ্ছে, অন্যদিকে কৌশলগত অবস্থান বজায় রাখছে। এই পরিবর্তিত অবস্থান আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণের সূচনা করতে পারে। 

উল্লেখ্য, চীন ইরানের শীর্ষ তেল ক্রেতা এবং দেশটি ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে।